32000 Primary Teacher Case : ৩২০০০ শিক্ষক বাতিল মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল- জবাব // মামলায় নতুন মোড় ।।
32000 Primary Teacher Jobs Case | Justice Cannot Be One Way Traffic : Next Hearing 1st July

৩২০০০ শিক্ষক নিয়োগ মামলা:
২০১৬-১৭ সালে নিযুক্ত ৩২০০০ প্রাথমিকে অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলাটি শিক্ষা মহলে এক আলাদা সাড়া ফেলেছে । মামলা টির শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, এবং সকলের দৃষ্টি এখন আদালতের রায়ের দিকে। একইসঙ্গে শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
—
মামলার বর্তমান অবস্থা:
এই মামলাটির কেস নম্বর হলো MAT, ৮৭৩/২০২৩ এবং এটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মৈত্রের ডিভিশন বেঞ্চের শুনানিাধীন। মামলার প্রধান আবেদনকারী হলেন, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ vs প্রিয়াঙ্কা নস্কর সহ অন্যান্যরা।
👉এই মামলার বিশেষত্ব হিসেবে অনেকে মনে করছেন যে,এর সঙ্গে অতিরিক্ত ৭৮টি CAN ফাইল যুক্ত, যা মামলাটির গুরুত্ব ও ব্যাপকতাকে বাড়িয়ে তুলছে।
শিক্ষকপক্ষের বক্তব্য:
২০১৬-১৭ সালে নিযুক্ত শিক্ষকদের পক্ষের সিনিয়র অ্যাডভোকেট কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে সওয়াল করছেন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব, কারণ এই প্রথমবার শিক্ষকরা তাঁদের বক্তব্য বিশদে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে সিঙ্গেলবেঞ্চ কিংবা প্রাথমিক ডিভিশন বেঞ্চের শুনানিতে তাঁদের কোনও পক্ষই ছিল না। তিনি বলেন…
প্রথমত তিনি সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় ঠিক-ঠাক হইনি বলে তাঁর অভিমত , পরে উনি কাট অফ মার্কস, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ,ইত্যাদি নিয়ে অনেক বক্তব্য রাখেন। উনি বলেন, ২০১৬ এর নোটিফিকেশনে জেলাভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা আছে। তাই রাজ্যভিত্তিক প্যানেলের কোন প্রশ্নই উঠে না। এছাড়াও যারা রাজ্যভিত্তিক cut off নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেছেন, বেশি নম্বর পেয়েও চাকরি পাননি তারা জেলা ভিত্তিক cut off দেখছেনই না। ( অর্থাৎ উনারা জেলা ভিত্তিক কাট অফ এর মধ্যে আসতে পারেননি)।
অ্যাটিটিউড টেস্টের প্রসঙ্গে উনি বলেন , মাননীয় বিচারপতি যে সমস্ত ইন্টারভিউয়ার ও চাকরিপ্রার্থীর স্বাক্ষের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত এনেছেন যে , অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি উনি সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থী ও ইন্টারভিউযার দের উনি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ।
—
রায় নিয়ে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা :
শিক্ষকদের একাধিক আইনজীবী তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন যেমনি একদিকে এবং তেমনি অন্যদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা তাঁদের পক্ষ তুলে ধরছেন তাদের সাওয়াল জবাবের মধ্য দিয়ে।
✍️ধারণা করা হচ্ছে, আদালত নিরপেক্ষ অবস্থানে দাঁড়িয়ে এমন একটি রায় দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে যোগ্য এবং বঞ্চিত প্রার্থীরা চাকরির সুযোগ পাবেন , আবার ৩২,০০০ নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের চাকরিও রক্ষা পাবে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে, এবং বাকি শুনানির দায়িত্ব কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের হাতে তুলে দিয়েছে।
✍️এই মামলার মূল রায় দানের উপর পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার শিক্ষক এবং চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছে। প্রত্যেকেই আশাবাদী, আদালত একটি ন্যায়সংগত এবং মানবিক রায় দেবে যা সকলের পক্ষেই মঙ্গলজনক হবে।
**এই ৩২০০০ শিক্ষক বাতিল মামলার নেক্সট ডেট ০১/০৭/২০২৫
আপডেটের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।