WBSSC Group C ও Group D ভাতা সংক্রান্ত আপডেট ২০২৫: বেতন কি বন্ধ? কী বলছে আদালত?
WBSSC Group C Group D Latest News:
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত WBSSC দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দেয়। প্রায় ২৬,০০০ জনের প্যানেল বাতিল ঘোষণা করে আদালত। যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বেতন দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও, Group C ও Group D কর্মীদের বেতন বা ভাতার বিষয়ে কোনো নির্দেশ ছিল না। ফলে শুরু হয় আন্দোলন এবং উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি।
—
মুখ্যমন্ত্রীর বেশি বড়ামি: ঘোষণা গ্রুপ C ও D কর্মীদের জন্য ভাতা প্রকল্প
এই রায়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, Group C কর্মীদের ২৫,০০০ টাকা এবং Group D কর্মীদের ২০,০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এতে বাতিল হওয়া সকল শিক্ষাকর্মী, যোগ্য এবং অযোগ্য সবাই এই ভাতা পাবেন বলে জানা যায়। কিন্তু এই ঘোষণার পরই শুরু হয় আইনি বিতর্ক এবং হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ।
—
কলকাতা হাইকোর্টে বিতর্কিত প্রশ্ন:
বিচারপতি অমৃতা সিনহা ম্যাডামের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে এবং সেখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে –
- এই টাকার অঙ্ক নির্ধারণ হলো কীভাবে?
- পাবলিকের টাকায় কেন বাড়িতে বসে ভাতা?
- সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে রাজ্য এই ভাতা কীভাবে দিতে পারে?
- চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতন ফেরতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আবার কীভাবে অর্থপ্রদান সম্ভব?
- রাজ্য সরকারের কি আদৌ ক্ষমতা আছে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এই প্রকল্প চালানোর?
এই প্রশ্নগুলো থেকেই স্পষ্ট, আদালত এই সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছে।
—
মামলাকারীদের বক্তব্য এবং রাজ্যের তর্ক বিতর্ক:
মামলাকারীদের দাবি ছিল, এটি সম্পূর্ণভাবে আদালতের রায় লঙ্ঘন। অপরদিকে, রাজ্য সরকারের বক্তব্য, যাঁরা মামলা করেছেন তাঁরা সকলেই ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থী। তাঁদের এই মামলার অধিকার নেই এবং এই ভাতা প্রকল্প তাঁদের কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না।
—
আদালতের রায়: আপাতত ভাতা স্থগিত
সবশেষে, বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান,
➡️ বর্তমানে এই ভাতা প্রদান করা যাবে না।
➡️ পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত প্রকল্প কার্যকর রাখা যাবে না।
➡️ মামলার চূড়ান্ত রায় এখনও স্থগিত, যা ভবিষ্যতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
—
সবশেষ:
WBSSC Group C ও Group D ভাতা আপডেট ২০২৫ নিয়ে রাজ্য এবং আদালতের মধ্যে এখনও আইনি লড়াই চলছে। এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না , এই ভাতা প্রকল্প আদৌ বাস্তবায়িত হবে কিনা। আগামী দিনগুলোতে আদালতের পরবর্তী রায় এই সমস্যার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
অবশ্যই আপনারা কমেন্ট করে জানাবেন এই রায় এর সিদ্ধান্ত বিচারপতি ম্যাডাম সঠিকভাবে নিয়েছেন কিনা তথা এটি সর্বসাধারণের জন্য যোগ্য সিদ্ধান্ত কিনা??