‘দুর্নীতি দেখলে বিচারপতি কি চোখ বুজে থাকবেন?’: আদালতের কড়া প্রশ্নে তোলপাড় শিক্ষা দপ্তর
Date: ২ জুলাই, ২০২৫।
Writer: https://bengalijob.com/ এর Desk.
- টপিক হাইলাইটস:
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের তীব্র মন্তব্য
- বিচারপতি টংদার ও বিচারপতি সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ
- অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের বরখাস্তের নির্দেশ
- আদালতের প্রশ্ন: “দুর্নীতি দেখেও কি বিচারপতিরা চোখ বুজে থাকবেন?”
দুর্নীতি দেখেও কি বিচারপতিরা চোখ বুজে থাকবেন?
৩২,০০০ শিক্ষক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (বিচারপতি টংদার ও বিচারপতি রাজশেখর মান্থা) একটি রায়ে জানিয়ে দিলেন, প্রমাণিত দুর্নীতির ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা আর সেই পদে থাকতে পারেন না।
বিচারপতির কড়া মন্তব্য:
“দুর্নীতি যদি দেখা যায়, তাহলে বিচারপতির চোখ বন্ধ থাকলে চলবে না।”
⚖️ আদালতের নির্দেশ ও তার প্রতিক্রিয়া :-
৩২ হাজারের বেশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতিরা স্পষ্ট জানান,
“চাকরি পেতে প্রক্রিয়ার ফাঁকফোকরকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর ও কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা এই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে।”
সরাসরি প্রভাব: আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে বহু শিক্ষকের চাকরি বাতিল হতে চলেছে।
আইনজীবীদের দাবি: প্রভাবিত শিক্ষকদের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতের এই নির্দেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অনুমতি চান। তবে হাইকোর্টের মতে, দুর্নীতির প্রশ্নে আপাতত চাকরিতে বহাল রাখা সম্ভব নয়।
—
🧑🏫 WB Primary Recruitment Scam: ‘দুর্নীতি দেখেও কি আদালত চুপ থাকবে?’ // শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা :-
বিচারপতিরা তীব্র ভাষায় শিক্ষা দপ্তর ও কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
“যখন দুর্নীতির অভিযোগ স্পষ্ট, তখন প্রশাসন নিরব কেন? আদালত কি চিরকাল চোখ বন্ধ করে থাকবে?”
আদালতের ভাষায়,
“যদি আমরা এখন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াই, তাহলে ভবিষ্যতে ন্যায়বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
—
📝 উপসংহার ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
এই মামলার রায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থায় এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
এই রায় ভবিষ্যতে অন্যান্য দুর্নীতির মামলার ক্ষেত্রেও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।