Best 4 Scholarship for Madhyamik Pass Candidate ।। স্কলারশিপ 1 লাখ টাকা

Best Four Scholarships for Madhyamik Pass Candidate :-

মাধ্যমিক (Madhyamik) রেজাল্ট, তারপরেই ছাত্রজীবনের নতুন অধ্যায়শুরু । পছন্দের বিষয় নিয়ে পেশাগত জীবনে প্রবেশের আগের এক ধাপ। রেজাল্ট নিয়ে বেশি বিঘ্নিত হয়ে পড়ার কোনো দরকার নেই। মনে রাখবেন, রেজাল্ট একবার ভালো হলেই আর চিন্তা নেই। সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে ভালো অঙ্কের টাকা সহায়তা পাবেন, সঙ্গে ভবিষ্যৎকে স্বাগত জানানোর আশ্বাস পাবেন।

ভালো মানের নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাস করলে সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে পরীক্ষার্থীদের।এই পোস্টে কোন কোন স্কলারশিপ আপনি পেতে পারেন, তার নাম ও তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো। এরই সঙ্গে জেনে নিন কোন স্কলারশিপের আবেদন কবে থেকে শুরু হবে? কোন স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য ঠিক কত শতাংশ নাম্বার প্রয়োজন হবে? তা যেনে নেওয়া যাক …..

1. স্বামী বিবেকানন্দ মেধা-কাম-মিনস স্কলারশিপ ২০২৫ :

পশ্চিমবঙ্গ সরকার মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য Swami Vivekananda Merit-cum-means scholarship প্রদান করে থাকে । এর মূল লক্ষ্য হল মেধাবী হয়েও আর্থিক সমস্যার কারণে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে না এমন শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা।

• যোগ্যতা:

এই স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার যোগ্য হওয়ার জন্য, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর পেতে হবে। এই স্কলারশিপ শুধুমাত্র সেইসব শিক্ষার্থীদের জন্য যারা অন্য কোনও স্কলারশিপ পাচ্ছেন না। আপনি যদি এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেন, তাহলে আপনি অন্য কোনও উৎস থেকে অন্য কোনও আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এই স্কলারশিপটি উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য প্রযোজ্য, যার মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য পেশাদার কোর্সও।

আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরে শুরু হবে। সাধারণত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিসিয়াল স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করা যায়।

•কী কী থাকলে আপনি আবেদন করতে পারবেন?

শিক্ষার্থীদের তাদের শেষ পরীক্ষায় (Madhyamil) ন্যূনতম ৬০% নম্বর (ছেলেদের জন্য) এবং ৫৫% (মেয়েদের জন্য) থাকতে হবে। আবেদনকারীদের বয়স ৩০ বছরের কম হতে হবে এবং তাদের বার্ষিক পারিবারিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে । নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা তাদের কোর্সের উপর নির্ভর করে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকা পেতে পারে।
যদি আপনি এই সব ক্রাইটেরিয়াগুলি পাস করতে পারেন তবে আপনারা এই scholarship এর জন্য আবেদন করতে পারবেন । আবেদনপত্র সীতারাম জিন্দাল ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন বা অনলাইনেও আবেদন করা যাবে।


2. এলআইসি গোল্ডেন জুবিলি স্কলারশিপ ২০২৫:

“LIC Golden Jubilee Scholarship” টি ভারতীয় জীবন বীমা কর্পোরেশন দ্বারা সরবরাহ করা হয়। মূলত আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো রেজাল্ট করেছেন এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চান তাদের জন্য।

যোগ্যতা:

মিনিমাম ৬০% নম্বর নিয়ে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীরা যোগ্য। ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন, আইন ইত্যাদির মতো স্নাতক পেশাদার বা কারিগরি কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরও আবেদন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এদের পারিবারিক আয় যেনো প্রতি বছর ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি না হয়। Class Ten পাস করে এখন Eleven এ পড়া শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর ১৫,০০০ টাকা বৃত্তি পাবে। কর্মক্ষমতার উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর এই বৃত্তি রিনিউ করা যায়।
আবেদনের সময় হলে LIC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।


https://bengalijob.com/madhyamik-result-2025-check/

For search your Madhyamik Result click on the link.


3. নবান্ন স্কলারশিপ 2025:

নবান্ন স্কলারশিপ একটি রাজ্য-স্তরের স্কলারশিপ যা শিক্ষাগতভাবে মেধাবী কিন্তু নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে। এটা মুখ্যমন্ত্রী তহবিল থেকে প্রদান করা হয়।

আবেদন করার জন্য, একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই শেষ উত্তীর্ণ পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর পেতে হবে। এছাড়াও, মোট বার্ষিক পারিবারিক আয় ৬০,০০০ টাকার মধ্যে হতে হবে । এটি গ্রামীণ বা শহরে দরিদ্র সীমার নিচের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এটি প্রদান করা হয়।। এটি কোনও নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুসরণ করে না। একাদশ শ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের (ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য পেশাদার কোর্স) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আবেদন করার যোগ্য।

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রসেস :

আবেদনপত্র ofline এ হাওড়ার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দিতে হবে অর্থাৎ নিজেকে গিয়ে এই আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।


4. ঐক্যশ্রী বৃত্তি ২০২৫ :

ঐক্যশ্রী বৃত্তি ( Aikyashri Scholarship ) পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ কর্পোরেশন (WBMDFC) দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি পশ্চিমবঙ্গের অধ্যয়নরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের (মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সি) জন্য।

যোগ্যতা:

এই বৃত্তি প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে এবং উচ্চশিক্ষার জন্য, তারপরে নিতে চাইলে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে । যোগ্য শিক্ষার্থীকে শেষ পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০% নম্বর পেতে হবে। এছাড়াও, বার্ষিক পারিবারিক আয় ২ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।

২০২৫ সালের আবেদনের তারিখ এখনো ঘোষিত হয়নি, অফিসিয়াল Aikyashri পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।


কীভাবে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করবেন?

স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি নিজেদের স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। অনেক সময় স্কুল প্রশাসনই আবেদন প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে। এছাড়াও, কাছাকাছি কোনও সাইবার ক্যাফেতে গিয়েও অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ ও জমা দেওয়া সম্ভব।
মনে রাখবেন, আবেদনের আগে সমস্ত termcondition সুন্দরভাবে পড়ে নেবেন ।