Primary TET 2022 Result Out, But No Job! নেই কোনো ইন্টারভিউ এর তারিখ !
২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত চিত্র :-
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) পরিচালিত টেট পরীক্ষা রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের অন্যতম প্রধান ধাপ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে একের পর এক সমস্যার কারণে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কার্যত স্থগিত হয়ে আছে।
- ২০২২ সালের প্রাথমিক টেটের ফল প্রকাশিত হলেও নিয়োগ হয়নি।
- ২০২৩ সালের টেটের ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি।
- ২০২৪ সালে কোনও প্রাথমিক টেটই হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী ডিপ্রেশনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

OBC Reservation Case এ আটকে WB Primary Teacher Recruitment!
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, OBC সংরক্ষণ মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন থাকায় টেটের ফলপ্রকাশ থেকে শুরু করে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সব কিছুই আটকে আছে।
চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়—
“সুপ্রিম কোর্টে OBC সংক্রান্ত মামলাটি বিচারাধীন থাকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকার থেকে শ্রেণিভিত্তিক শূন্যপদের সংখ্যা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পর্ষদও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছে না।”
এখনও সেই পরিস্থিতি অপরিবর্তিত।
To know more update join our WhatsApp group https://chat.whatsapp.com/IlcPBMtp8weBMI26qtsqOC?mode=ac_t
শূন্যপদ নিয়ে পর্ষদ কী বলছে ?
শূন্যপদ নিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে যে, তারা বারবার রাজ্য সরকারের কাছে শূন্যপদের তালিকা চেয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য এখনও হাতে আসেনি। শূন্যপদ নির্ধারণ না হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়। ফলে OBC সংরক্ষণ মামলার সঙ্গে এই শূন্যপদের বিষয়টিও নিয়োগ বিলম্বের বড় কারণ।
- কিন্তু ২২ টেট পাস চাকরি প্রার্থীরা পর্ষদের উপরে দোষারোপ করেছে এবং তারা জানিয়েছে , পর্ষদ শূন্যপদের জন্য এরূপ কোনো রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক টেট: ২০২২-এর ফল বেরোলেও নিয়োগ নেই:
চাকরিপ্রার্থীদের হতাশা—আন্দোলনের ঝড়
এই দীর্ঘ বিলম্বে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী যারা বছরের পর বছর শিক্ষকতার চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন, তারা ভীষণভাবে হতাশ। অনেকে আন্দোলনে নেমেছেন।
-
“কেন নিয়োগ হচ্ছে না?”—এই প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি।
-
বহু টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বারবার আন্দোলন করলেও এখনো সুরাহা হয়নি।
দুর্নীতি মামলা ও আদালতের নির্দেশ :-
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এর তদন্ত বর্তমানে CBI করছে।
-
২০২৩ সালের ১৬ মে, কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন।
-
হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছিল, ৩ মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।
-
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারা শিক্ষকরা।
-
সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি হয়।
বর্তমানে এই মামলা বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন।
চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বাড়ছে—সমাধান কবে?
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো—চাকরিপ্রার্থীদের বয়স ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। অনেকেই চাকরির সর্বোচ্চ বয়সসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে তারা জানতে চাইছেন—
“কবে শেষ হবে এই জট? কবে হবে নিয়োগ?”
কিন্তু পর্ষদ বা সরকার কেউই সঠিক সময়সীমা জানাতে পারছে না ।
বহু চাকরিপ্রার্থী এই প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেছেন পর্ষদ তথা সরকারকে
আর কত দিন !
আর পারছি না !
হয় আমাদের নিয়োগ টা দিন , না হয় আমাদের মেরে দিন।
আমরা আর পারছি না !

ওবিসি সংরক্ষণ মামলা, শূন্যপদের তালিকা এবং পুরনো দুর্নীতি মামলার জট খুলবে কবে—এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। নতুন নিয়োগ এবং টেট পরীক্ষার সঠিক সময়সূচি ঘোষণা হলে তবেই এই অচলাবস্থা কাটবে।