Scholarship for 12th Passed Students 2025: Apply Online and Check Eligibility
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক( West Bengal Council of Higher Secondary Education) পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে ৫০ দিনের শেষে। রাজ্য সরকারের ঘোষণায় জানা গিয়েছে, এই বছর বিগত দশ বছরের তুলনায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল হয়েছে ( ব্যতিক্রম: করণার সাল গুলো ২০২০-২০২২)এবং প্রথম দশে স্থান পেয়েছে ৭২ জন কৃতি ছাত্র-ছাত্রী। পাশের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বলা চলে, পাসের হার যথেষ্ট বাড়ছে।
*মাধ্যমিক পাসের ওপরে যে সমস্ত স্কলারশিপ গুলি পাওয়া যাবে তার লিস্ট https://bengalijob.com/best-4-scholarship-for-madhyamik-pass-candidate/
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাই ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের অন্যতম মোড়। এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে একদিকে যেমন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়, তেমনি উচ্চ শিক্ষার দ্বারও খুলে যায়। তবে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যারা অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। তাদের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার সহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে দেওয়া হচ্ছে স্কলারশিপ বা মেধাবৃত্তি।
এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করবো , ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পাওয়া যায় এমন সেরা ৫টি স্কলারশিপ সম্পর্কে, যেগুলির মূলত দরিদ্র অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারেন।
১) স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ (SVMCM) SWAMI VIVEKANANDA MERIT CUM MAINS SCHOLARSHIP:
রাজ্য সরকারের সব থেকে পুরোনো,সরকারি একটি মেধাবৃত্তি। আসুন জেনে নেয়া যাক ডিটেইল এ…….
- প্রদানকারী সংস্থা: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার
- যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম ৬০% নম্বর
- পারিবারিক বার্ষিক আয় : ২.৫ লক্ষ টাকার কম
বৃত্তির পরিমাণ:
- পেশাগত কোর্সে: সর্বোচ্চ ৬০,০০০ টাকা
- সাধারণ স্নাতক: ১২,০০০ – ১৮,০০০ টাকা
*স্নাতকোত্তর স্তরেও এই স্কলারশিপ পাওয়া যায়
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, পলিটেকনিক সহ বিভিন্ন কোর্সে আর্থিক সহায়তা পান।
২) নবান্ন স্কলারশিপ : (WB Chief Minister’s Relief Fund Scholarship) :-
সরকার অনুমোদিত স্কলারশীপ গুলির মধ্যে এটিও অন্যতম একটি মেধাবৃত্তি। এটা তুলনামূলক ভাবে যারা কম মেধাবী ছাত্র ছাত্রী তাদের জন্য।
প্রদানকারী সংস্থা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল
যোগ্যতা:
- উচ্চমাধ্যমিকে কমপক্ষে ৫০% নম্বর
- পারিবারিক বার্ষিক আয় ১.২ লক্ষ টাকার মধ্যে
বৃত্তির পরিমাণ: ১০,০০০ টাকা (এককালীন)
মেধাবী অথচ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি একটি কার্যকরী স্কলারশিপ।
৩) ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টাল (NSP Scholarships) :-
- প্রদানকারী সংস্থা: ভারত সরকার
যোগ্যতা:
- মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম ৫০% নম্বর
- পারিবারিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নিচে
বৃত্তির পরিমাণ: ১০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা
*NSP প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় স্কিমে অনলাইন আবেদন করা যায়।
৪) জিপি বিড়লা স্কলারশিপ (GP Birla Educational Foundation) :-
বিড়লা কোম্পানি অধীনস্থ এটি বেসরকারী সংস্থার মেধাবৃত্তি যেখানে খুবই মেধা সম্পন্ন পড়ুয়া দের সাহায্যার্থে পরিচালিত হয় । দেখে নেওয়া যাক এর কী কী ক্রেইটেরিয়া আছে….
- প্রদানকারী সংস্থা: GP Birla Educational Foundation
যোগ্যতা:
- উচ্চমাধ্যমিকে ৮৫% বা তার বেশি নম্বর
- পারিবারিক আয় ৩ লক্ষ টাকার নিচে
বৃত্তির পরিমাণ:
- টিউশন ফি সহ অন্যান্য খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা
- বই কেনার জন্য এককালীন ৭,০০০ টাকা
এটি একটি বেসরকারি স্কলারশিপ যা উচ্চশিক্ষার সমস্ত খরচ বহন করতে সহায়তা করে।
৫) টাটা স্কলারশিপ (Tata Scholarship 2024-25):-
TATA একটি বৃহৎ কোম্পানি, যে প্রতিবছর বহুসংখ্যক ভালো merit ওয়ালা ছেলে মেয়ে কে মেধাবৃত্তি প্রদান করে, তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য।
- প্রদানকারী সংস্থা: Tata Trust
যোগ্যতা:
- মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম ৬০% নম্বর
- পারিবারিক বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম
- বৃত্তির পরিমাণ: ১০,০০০ – ১২,০০০ টাকা
- আবেদনের সময়সীমা: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত
এই স্কলারশিপ আবেদন অনলাইনে করা যায় এবং নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
—
শেষ কথা (Conclusion about Scholarship)
:Scholarship for 12th Passed Students 2025
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর অনেক ছাত্রছাত্রীর স্বপ্ন থাকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের। কিন্তু অর্থনৈতিক অভাব অনেক সময় সেই স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। উপরের এই স্কলারশিপগুলো ছাত্রছাত্রীদের সেই স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে । আপনি যদি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকেন এবং আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবার থেকে আসেন, তাহলে এগুলোর যেকোনো একটিতে বা একাধিক স্কলারশিপে আবেদন করে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে পারেন।