SSC Scam: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ঘোষণা // খোলা থাকছে দু’টি বিকল্প
SSC( West Bengal School Service Commission) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন মোড়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই ৩১শা মে ২০২৫ এর মধ্যে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সঙ্গে থাকবে দু’টি বিকল্প পথ।
—
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আদালতের আগের নির্দেশ না মানলে সরকারকে দোষারোপ করা হতে পারে। তাই বাধ্য হয়েই আইনের পথে হেঁটে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে রিভিউ পিটিশন ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর সেই পিটিশনের শুনানি হবে। সেই রায়ের উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতের পদক্ষেপ।
—
স্পষ্ট দু’টি বিকল্প :-
মমতা স্পষ্ট বলেন –
- নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকবে।
- একইসঙ্গে রিভিউ পিটিশনের রায় অনুসারে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পরীক্ষা দেবেন না বলবেন না। দু’টি বিকল্পকেই কাজে লাগান।” অর্থাৎ, একদিকে আইনি লড়াই চলবে, অন্যদিকে নতুন নিয়োগের জন্য আবেদন করার পথও খোলা থাকবে।
—
পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া
- বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ: ৩০ মে
- আবেদনের শেষ তারিখ: ১৪ জুলাই
- প্যানেল প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর
- নিয়োগ পদ: মোট ২৪,২০৩টি
- নবম-দশম শ্রেণি: ১১,৫১৭টি পদ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি: ৯,৯১২টি পদ
বিশেষ সুবিধা: পূর্বে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের এক্সপিরিয়েন্স বিবেচনায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
—
এই বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এই বিজ্ঞপ্তি আবার নতুন দুর্নীতির পথে নিয়ে যেতে পারে।” তাঁর মতে, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলেছে, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না এবং তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে। তাই একইসঙ্গে দু’টি পথ খোলা রাখা আইনি দৃষ্টিতে প্রশ্নসাপেক্ষ।
—
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমাদের বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। আমরা চাই কেউ বিপদে না পড়ুক। তাই দু’টি বিকল্প খোলা রাখা হয়েছে।”
—-
SSC Scam এবং Supreme Court-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা ঘিরে রাজ্যজুড়ে চরম বিতর্ক। কেউ একে বিচার মেনে নেওয়া বলছেন, কেউ আবার নতুন দুর্নীতির আশঙ্কা করছেন। তবে আপাতত ৩১ মে’র মধ্যে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে এবং রিভিউ পিটিশনের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।